ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নের জন্য সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন জেলা বিএনপির নেতা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ

স্টাফ রিপোর্টারঃ সাতক্ষীরা সদরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক ও আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রউফ। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের শাসন আমলে চেয়ারম্যান রউফের নেতৃত্বে সাতক্ষীরার রাজপথ আন্দোলন সংগ্রাম উত্তাল হয়ে ওঠে। আন্দোলন সংগ্রাম দমনের জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রশাসন কর্তৃক ২০১১ চেয়ারম্যান একমাত্র পুত্র যুবদল নেতা আবু সেলিম কে ঢাকা থেকে গুম করে। মেধাবী যুবনেতা সেলিমকে এখনো খুঁজে পায়নি তাঁর পরিবার।এত কিছুর পরেও ফ্যাসিস্ট সরকার চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ কে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে বিন্দুমাত্র দূরে রাখতে পারেনি। তিনি পুত্র হারানোর শোক ও একাধিক মামলা,কারাবরণ, ক্রসফায়ার উপেক্ষা করে জাতীয়তাবাদী দল ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে একাধিকবার সাতক্ষীরা থেকে তৎকালীন সরকারকে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে জানান দিয়েছে। শুধু তাই নয় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজপথে থেকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্রকে পূর্ণ উদ্ধার করা। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার সরদারের পুএ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আতঙ্ক সাতক্ষীরার মাটি মানুষের নেতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রউফ ১৯৭৭ সালে বিএনপির সাথে যুক্ত হয়। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে আজ পর্যন্ত এই দল থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হয়নি। চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক,সিনিয়র সহ-সভাপতি, উপজেলা সভাপতি সহ বিভিন্ন পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।কারাবন্দি হয়ে এবং বাইরে থেকেও একাধিকবার চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী হিসাবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন সেখানে ভোট কারচুপি ও অনিয়ম দেখে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জন করেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমান তালে বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজবী সংগঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রউফ ভুলে তুলেছেন নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনালী ফিলিং স্টেশন, মেসার্স সোনালী ব্রিকস, মেসার্স লতা রাইচ মিল, মেসার্স সোনালী ফিস। শুধু তাই নয় সভাপতি সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ট্যাংকলরী মালিক সমিতি, সাধাঃ সম্পাদক সাতক্ষীরা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি, সভাপতি ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক বহুমুখি সমবায় সমিতি, রেজিঃ নং ৮৭/সাত,প্রাক্তন সভাপতি ন্যাশনাল ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম। শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য গড়ে তুলেছেন সীমান্ত আদর্শ ডিগ্রী কলেজ, মাহমুদপুর,মাহমুদপুর গালর্স কলেজিয়েট স্কুল, মাহমুদপুর,আলিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যলয়,মাহমুদপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যলয়,আলিপুর আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা এ সকল প্রতিষ্ঠানে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। জেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থাকা নির্যাতিত নেতা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সাতক্ষীরা সদরে ধানের শীর্ষ মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবে সদর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ এমনটা প্রত্যাশা করেছেন। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে সদর উপজেলা বাসির পাশে থাকার জন্য সদর উপজেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন।