শহিদুল ইসলাম শহিদ : টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় জনভোগান্তি চরমে পৌছেছে।সাতক্ষীরা পৌরসভার মধুমল্লারডাঙ্গী, কামালনগর, ইটাগাছা, মেহেদীবাগ, রসুলপুর, বদ্দীপুর কলোনি, রইচপুর, মধ্য কাটিয়া, রথখোলা, রাজার বাগান, মুনজিতপুর, পুরাতন সাতক্ষীরার নিম্ন এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে।
ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। এতে মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে গোটা এলাকায়। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে ও সরকারি খাল দখল করে মৎস্য ঘের গড়ে তোলা, অবৈধভাবে খালে দেওয়া নেট—পাটাসহ পরিবেশ বির্পয়ের কারণে খেসারত দিতে হচ্ছে সাতক্ষীরাবাসীকে। কোটি কোটি টাকার নদী খনন প্রকল্পে অনিয়মের কারণে খননের প্রকৃত উদ্দেশ্য হাসিল হচ্ছে না। নদী—খালের প্রশস্ততা কমিয়ে ফেলা হয়। তলদেশ খনন না করে পাড় উঁচু করে গভীরতা দেখানো হয়। ফলে স্থলভাগের পানি নদীতে যায় না। উপরন্তু নদীর পানি বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করে। ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। টিউবওয়েলগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। অনেকে পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠেছেন। দ্রুততম সময়ে পানিবদ্ধতা দূরীকরণের উদ্যোগ না নিলে এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাতক্ষীরায় পানিবদ্ধতার সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কার্যকরী বাস্তবায়ন দেখতে চায় স্থানীয়রা।
এলাকা পরিদর্শনে যেয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ বলেন, শহরের জলাবদ্ধতায নিরসনে ঘের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে দফায় দফায় কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে পানিবদ্ধতা হ্রাস পাবে।