আশাশুনিতে ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসী মানুষের মাঝে নৌবাহিনীর ত্রাণ ও মেডিকেল সহায়তা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরার আশাশুনির আনুলিয়ায় খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধ ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসী মানুষের মাঝে জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। খুলনা নৌ অঞ্চলের সার্বিক তত্বাবধানে বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট ও কাকবাসিয়া এলাকায় এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রাণ বিতরণ উপ-সমন্বয়কারী লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোঃ সোহেল রানা।
তিনি এ সময় বলেন, দেশের যে কোনো সংকট ও দুর্যোগে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সবসময় নির্ভরতার প্রতীক হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংকটকালে জনগণের পাশে থাকা শুধু দায়িত্ব নয়, এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক দৃঢ় অঙ্গীকার। তিনি আরো বলেন, আশাশুনির এই দুর্যোগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে নৌবাহিনী ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, আশাশুনির থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নোমান হোসেনসহ অন্যান্যরা।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী এসময় প্লাবিত অঞ্চলের পাঁচ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসী মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল, চাল, ডাল, তেল, চিনি, বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, ঔষধ, খাবার স্যালাইন, বিভিন্ন রকমের শুকনো খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাইসহ বিভিন্ন সামগ্রী। এছাড়া সেখানকার বানভাসী মানুষের মাঝে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য ঃ গত ৩১ মার্চ ঈদের দিন সকাল ৯টার দিকে পাউবো বিভাগ—২ এর আওতাধীন ৭/২ পোল্ডারের বিছট গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় প্রায় দুই’শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করেই খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যে গ্রামবাসীর ঈদের আনন্দ বানের জলের সাথে মিশে যায়। হাজার হাজার স্থানীয় গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দুই দফায় ভাঙ্গন পয়েন্টে বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা চালালেও তা জোয়ারের তোড়ে ব্যর্থ হয়ে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ। ভেসে যায় হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি। বিদ্যুত বিহীন রয়েছে তিনটি গ্রাম।